বুনিয়ান টেক বাংলা বুনিয়ান টেক বাংলা

Privacy Policy

বুনিয়ান টেক ব্লগ বাজারে গোপনীয়তা নীতি (Privacy Policy)

শেষ হালনাগাদ: জুন ২৩, ২০২৫

আরে, বুনিয়ান টেক ব্লগ বাজারে (“আমরা,” “আমাদের,” বা “এই ওয়েবসাইট”) আপনাকে স্বাগতম! এখানে আপনি প্রযুক্তির মজার দুনিয়া সম্পর্কে জানতে আসেন, তাই না? যেমন আপনি আপনার প্রিয় খেলার মাঠে নিরাপদে খেলতে চান, ঠিক তেমনি আমরাও চাই আপনি আমাদের ওয়েবসাইটে নিরাপদে থাকুন। আপনার ব্যক্তিগত তথ্য আমাদের কাছে কতটা মূল্যবান, তা আমরা ভালো করে বুঝি। তাই, এই লেখাটা আপনাকে বুঝিয়ে দেবে যে, যখন আপনি bunianbazar.com ভিজিট করেন, তখন আমরা কী কী তথ্য সংগ্রহ করি, সেগুলোকে কীভাবে ব্যবহার করি, কার সাথে শেয়ার করি, আর কীভাবে সযত্নে রাখি।

আমাদের ওয়েবসাইটে ঢোকার আগে বা এটা ব্যবহার করার আগে, এই কয়েকটা লাইন একটু মন দিয়ে পড়ে নিন। এতে আপনার সব চিন্তা দূর হয়ে যাবে!

১. আচ্ছা, আমরা আপনার কাছ থেকে কী ধরনের তথ্য নেই?

ভাবছেন, “আমার তথ্য নিয়ে এরা কী করবে?” আসলে, আমরা দু’ধরনের তথ্য নিই: কিছু তথ্য যা দিয়ে আপনাকে চেনা যায় (যেমন আপনার নাম), আর কিছু তথ্য যা দিয়ে আপনাকে সরাসরি চেনা যায় না।

ক. আপনি নিজেই যখন আমাদের কিছু বলেন:

  • যোগাযোগের কথা: ধরুন, আপনি আমাদের নতুন কোনো প্রযুক্তি নিয়ে লেখা পড়তে চাইলেন আর নিউজলেটারের জন্য নাম দিলেন। বা হয়তো আপনি আমাদের কোনো পোস্টে মন্তব্য করলেন। অথবা আমাদের কাছে একটা প্রশ্ন পাঠালেন। তখন আমরা আপনার নাম, ইমেল ঠিকানা, আর আপনার পাঠানো প্রশ্নটা জানতে পারি। এটা অনেকটা বন্ধুর সাথে কথা বলার মতো, তাই না?
  • আপনার নিজের প্রোফাইল (যদি থাকে): যদি আমরা এমন সুযোগ দিই যে আপনি নিজের একটা প্রোফাইল বানাতে পারেন, তাহলে আপনি আপনার একটা নাম, পাসওয়ার্ড আর হয়তো একটা ছোট্ট ছবিও দিতে পারেন। এটা আপনার ডিজিটাল আইডি কার্ডের মতো।
  • মন্তব্য করার সময়: যখন আপনি কোনো পোস্টে মন্তব্য করেন, তখন আপনার নাম, ইমেল ঠিকানা আর মন্তব্যটা আমরা পাই। একটা মজার ব্যাপার কী জানেন? আমরা আপনার কম্পিউটারের আইপি অ্যাড্রেসও নিই, যাতে রোবটগুলো এসে ফালতু মন্তব্য করতে না পারে! আপনার ইমেল থেকে একটা বিশেষ কোড (আমরা যাকে ‘হ্যাশ’ বলি) গ্র্যাভাটার নামের একটা জায়গায় পাঠানো হয়, যাতে আপনার সুন্দর ছবিটা মন্তব্যের পাশে দেখা যায়। আপনার মন্তব্যটা একবার দেখিয়ে দিলে, সবাই আপনার ছবিটা দেখতে পাবে।
  • অন্যান্য পছন্দের কথা: কখনো কখনো আমরা হয়তো আপনাকে ছোটখাটো কোনো জরিপে অংশ নিতে বলতে পারি, বা কোনো প্রতিযোগিতায় যোগ দিতে বলতে পারি। তখন আপনি যা তথ্য দেবেন, সেটাও আমরা রাখি।

খ. কম্পিউটার নিজে নিজে যা সংগ্রহ করে:

আপনি যখন আমাদের ওয়েবসাইটে আসেন, আপনার কম্পিউটারও কিছু তথ্য আমাদের জানিয়ে দেয়। এটা অনেকটা এমন, যেমন আপনি যখন দোকানে যান, তখন দোকানদার আপনার পছন্দ-অপছন্দ বুঝতে চেষ্টা করে।

  • ভিজিটের তথ্য: আমাদের সার্ভার নামের কম্পিউটারটা সব সময় দেখে আপনি কোন ব্রাউজার ব্যবহার করছেন (যেমন ক্রোম বা ফায়ারফক্স), কখন এসেছেন, কোন পাতা দেখছেন, আর কতক্ষণ থাকছেন। এসব তথ্য আমাদের ওয়েবসাইটকে আরও ভালো করতে সাহায্য করে।
  • কুকিজ ও ট্র্যাকিং: ‘কুকিজ’ শব্দটা শুনেই কেমন বিস্কুটের কথা মনে হচ্ছে, তাই না? আসলে এগুলো হলো ছোট ছোট তথ্য ফাইল, যা আপনার কম্পিউটারে জমা হয়। আমরা এই ‘কুকিজ’ ব্যবহার করি যাতে আপনি যখন আবার আসেন, তখন আপনাকে চিনতে পারি। যেমন, আপনার লগইন তথ্য মনে রাখা, বা আপনার পছন্দের বিষয়গুলো মনে রাখা। এটা অনেকটা আপনার স্মৃতিশক্তির মতো, যা ওয়েবসাইটের অভিজ্ঞতা আরও সহজ করে তোলে। আপনি চাইলে আপনার ব্রাউজারকে বলতে পারেন যেন কোনো কুকিজ না নেয়। কিন্তু তখন হয়তো আমাদের ওয়েবসাইটের কিছু মজার জিনিস আপনার নাও ভালো লাগতে পারে।
  • ডিভাইসের তথ্য: আমরা আপনার মোবাইল বা কম্পিউটার সম্পর্কে কিছু তথ্য জানতে পারি, যেমন এটা কোন মডেলের, কী অপারেটিং সিস্টেম চলছে (অ্যান্ড্রয়েড নাকি উইন্ডোজ), আর এর একটা আইডি নম্বর।
  • ব্যবহারের ডেটা: আপনি ওয়েবসাইটে কোথায় ক্লিক করছেন, কতক্ষণ থাকছেন, কোন পাতাগুলো বেশি পড়ছেন – এসব তথ্য আমরা সংগ্রহ করি। এটা আমাদের বুঝতে সাহায্য করে যে কোন লেখাগুলো আপনার বেশি পছন্দ।

গ. অন্য জায়গা থেকে পাওয়া তথ্য:

কখনো কখনো অন্য কিছু প্রতিষ্ঠান থেকেও আমরা তথ্য পেতে পারি।

  • বিশ্লেষণকারী সংস্থা: আমরা গুগল অ্যানালিটিক্স-এর মতো কিছু সেবা ব্যবহার করি, যারা আমাদের ওয়েবসাইটে কারা আসছে, কীভাবে ব্যবহার করছে, এসব নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করে। তবে এই তথ্যগুলো সরাসরি আপনাকে চেনে না, এগুলো শুধু মোটামোটি একটা ধারণা দেয়।
  • বিজ্ঞাপন দেখালে: যদি আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন দেখাই, তাহলে বিজ্ঞাপনের অংশীদাররা হয়তো আপনার পছন্দ অনুযায়ী বিজ্ঞাপন দেখানোর জন্য কিছু তথ্য নিতে পারে।
  • সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম: যদি আপনি ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে আমাদের সাথে যুক্ত হন, তাহলে সেই প্ল্যাটফর্মগুলো থেকে আপনার কিছু তথ্য আমাদের কাছে আসতে পারে।

২. আচ্ছা, আপনার তথ্য দিয়ে আমরা কী করি?

আমরা তো এত তথ্য নিচ্ছি, কিন্তু এগুলো দিয়ে করিটা কী? একদম সহজ করে বললে:

  • আপনাকে সেবা দিতে: আমাদের ওয়েবসাইটটা যাতে ঠিকঠাক চলে আর আপনি সব লেখা পড়তে পারেন, সে জন্যই এই তথ্যগুলো কাজে লাগে।
  • আপনার সাথে কথা বলতে: আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে, বা আপনি যদি আমাদের নিউজলেটার পেতে চান, তাহলে আপনার ইমেল বা ফোন নম্বর দিয়ে আমরা আপনার সাথে যোগাযোগ করি।
  • আপনার অভিজ্ঞতাকে আরও ব্যক্তিগত করতে: ধরুন আপনি সাইন্স ফিকশন ভালোবাসেন, আমরা তখন চেষ্টা করি আপনার সামনে সেই ধরনের লেখাই বেশি করে তুলে ধরতে। এটা অনেকটা আপনার পছন্দের দোকানের মতো, যেখানে আপনার পছন্দের জিনিসগুলো সবার আগে দেখানো হয়।
  • আমাদের ওয়েবসাইটকে আরও ভালো করতে: আমরা দেখি কোথায় কী সমস্যা হচ্ছে, কোনটা ভালো চলছে, আর কোনটা আরও ভালো করা যায়। এটা অনেকটা স্কুলের পরীক্ষার ফলাফলের মতো, যা দেখে আমরা আমাদের কাজ আরও ভালো করি।
  • গবেষণা ও বিশ্লেষণের জন্য: আমরা বুঝতে চেষ্টা করি যে আমাদের পাঠকরা কী চায়, কী তাদের ভালো লাগে।
  • আইনের কথা রাখতে: কখনো কখনো আইন আমাদের কিছু তথ্য জানতে চাইতে পারে। তখন আমাদের তা দিতে হয়।
  • নিরাপদ রাখতে: আমরা সব সময় চেষ্টা করি কোনো খারাপ লোক বা হ্যাকার যেন আপনার তথ্য চুরি করতে না পারে।
  • বিজ্ঞাপন দেখানোর জন্য (যদি দেখাই): আপনার পছন্দের ওপর ভিত্তি করে যদি কোনো বিজ্ঞাপন দেখানো হয়, তাহলে সেই তথ্য কাজে লাগে।
  • আপনার মন্তব্যগুলো সামলাতে: আপনি যে মন্তব্য করেন, সেগুলো যাতে ঠিকঠাক দেখানো যায় আর কোনো ফালতু মন্তব্য না থাকে, তা দেখার জন্য।

৩. আমরা আপনার তথ্য কার কার সাথে শেয়ার করি?

আমরা আপনার ব্যক্তিগত তথ্য কখনোই বিক্রি করি না বা ভাড়া দিই না। এটা অনেকটা আপনার গোপন ডায়েরির মতো, যা আপনি কাউকে পড়তে দেন না। তবে কিছু ক্ষেত্রে আমরা তথ্য শেয়ার করতে পারি:

  • আমাদের সাহায্যকারীদের সাথে: ধরুন, আমাদের ওয়েবসাইটটা চালু রাখার জন্য কিছু মানুষ আমাদের সাহায্য করে। যেমন, ওয়েবসাইট যেখানে থাকে সেই জায়গাটা (হোস্টিং), বা আপনার কাছে ইমেল পাঠানোর জন্য। এরা শুধু আমাদের হয়ে কাজ করে আর আপনার তথ্য সযত্নে রাখে।
  • যদি ব্যবসা বদলে যায়: যদি বুনিয়ান টেক ব্লগ বাজার অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের সাথে মিশে যায় বা বিক্রি হয়ে যায়, তাহলে আপনার তথ্যও হয়তো তাদের কাছে যেতে পারে। তবে আমরা আপনাকে অবশ্যই আগে থেকে জানিয়ে দেব।
  • আইনের কারণে: আইন যদি আপনার তথ্য চায়, তখন আমাদের দিতে হতে পারে। এটা অনেকটা পুলিশের কাজের মতো, যেখানে তাদের সহযোগিতা করতে হয়।
  • আপনার অনুমতি নিয়ে: যদি আপনার অনুমতি থাকে, তাহলে আমরা আপনার তথ্য অন্য কোনো কাজেও শেয়ার করতে পারি।
  • মোটামুটি তথ্য: আমরা এমন কিছু তথ্য শেয়ার করতে পারি যা দিয়ে আপনাকে সরাসরি চেনা যায় না, কিন্তু অনেক মানুষের একটা সমষ্টিগত চিত্র পাওয়া যায়। যেমন, আমাদের ওয়েবসাইটে কতজন পুরুষ ভিজিট করেন, বা কতজন নারী।

৪. অন্য ওয়েবসাইটের লিঙ্ক থাকলে কী হবে?

আমাদের ওয়েবসাইটে হয়তো অন্য কিছু ওয়েবসাইটের লিঙ্ক থাকতে পারে। ধরুন, আমরা কোনো নতুন স্মার্টফোনের রিভিউ লিখলাম আর কেনার জন্য একটা অনলাইন দোকানের লিঙ্ক দিলাম। যদি আপনি সেই লিঙ্কে ক্লিক করেন, তাহলে আপনি আমাদের ওয়েবসাইট ছেড়ে অন্য ওয়েবসাইটে চলে যাবেন। মনে রাখবেন, সেই ওয়েবসাইটগুলোর নিয়ম কিন্তু আলাদা। তাই, সেখানে কোনো তথ্য দেওয়ার আগে তাদের ‘গোপনীয়তা নীতি’টা একটু পড়ে নেবেন। অন্য ওয়েবসাইটগুলো কী করে, সে ব্যাপারে আমাদের কোনো হাত নেই।

৫. আপনার তথ্য কতটা সুরক্ষিত?

আপনার ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত রাখার জন্য আমরা অনেক চেষ্টা করি। আমরা নানা রকম প্রযুক্তি আর নিয়ম ব্যবহার করি যাতে কেউ আপনার তথ্য চুরি করতে বা নষ্ট করতে না পারে। কিন্তু ইন্টারনেট তো বিশাল একটা জায়গা, আর এখানে কোনো কিছুই ১০০% নিরাপদ নয়, এটা তো আপনি জানেনই। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করি, কিন্তু পুরোপুরি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা কঠিন।

আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে একটা বিশেষ সুরক্ষার ব্যবস্থা ব্যবহার করি, যাকে SSL/TLS এনক্রিপশন বলে। এটা অনেকটা একটা গোপন পথের মতো, যেখানে আপনার তথ্য খুব সাবধানে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যায়।

৬. আপনার তথ্য আমরা কতদিন রাখি?

আপনার তথ্য আমরা কতদিন রাখব, সেটা নির্ভর করে তথ্যটা কী কাজে লাগছে তার ওপর। যেমন:

  • আপনার মন্তব্য: আপনি যদি কোনো মন্তব্য করেন, তাহলে সেটা আর তার সাথে জড়িত তথ্যগুলো আমরা অনেক দিন রাখি। এতে করে আপনার পরে করা মন্তব্যগুলোও আমরা সহজেই চিনতে পারি।
  • যোগাযোগের ফর্মের মাধ্যমে ডেটা: আপনি যখন কোনো প্রশ্ন পাঠান, তখন আপনার প্রশ্নটার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আমরা সেই তথ্য রাখি।
  • নিউজলেটার: আপনি যতক্ষণ না নিউজলেটার বন্ধ করছেন, ততক্ষণ আপনার ইমেল ঠিকানা আমাদের কাছে থাকে।
  • ওয়েবসাইট ব্যবহারের তথ্য: ওয়েবসাইট কীভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে, সেই তথ্যগুলো কিছু নির্দিষ্ট সময় পর নিজে থেকেই মুছে যায় বা এমনভাবে রাখা হয় যে আপনাকে চেনা না যায়।

আমরা যখন আপনার তথ্য রাখার সময় ঠিক করি, তখন দেখি তথ্যটা কতটা জরুরি, কতটা সংবেদনশীল, আর আইন কী বলছে।

৭. আপনার নিজের কী কী অধিকার আছে?

আমাদের বাংলাদেশে একটা আইন আছে, যার নাম ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, 2018 (যদিও এই আইন নিয়ে কিছু আলোচনা আছে, তবে এটি কার্যকর)। এই আইন অনুযায়ী আপনার কিছু অধিকার আছে:

  • তথ্য দেখার অধিকার: আপনার সম্পর্কে আমাদের কাছে কী কী তথ্য আছে, তা আপনি দেখতে চাইতে পারেন।
  • ভুল তথ্য ঠিক করার অধিকার: যদি দেখেন আপনার কোনো তথ্য ভুল আছে, আপনি আমাদের বলতে পারেন সেটা ঠিক করে দিতে।
  • তথ্য মুছে ফেলার অধিকার: কিছু ক্ষেত্রে আপনি আপনার তথ্য মুছে ফেলার অনুরোধ করতে পারেন, যদি না আইন আমাদের সেটা রাখতে বাধ্য করে। এটা অনেকটা আপনার স্কুল থেকে পুরনো খাতা ফেলে দেওয়ার মতো।
  • তথ্য ব্যবহার বন্ধ করার অধিকার: কিছু বিশেষ পরিস্থিতিতে আপনি বলতে পারেন যে আমরা যেন আপনার তথ্য আর ব্যবহার না করি।
  • তথ্য এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নেওয়ার অধিকার: আপনি চাইলে আপনার তথ্য অন্য কোনো জায়গায় নিয়ে যেতে পারেন।
  • আপত্তি জানানোর অধিকার: কিছু ক্ষেত্রে আপনি বলতে পারেন যে আমরা যেন আপনার তথ্য ব্যবহার না করি, বিশেষ করে যদি সেটা বিজ্ঞাপন দেখানোর জন্য হয়।

যদি আপনার এই অধিকারগুলো ব্যবহার করতে চান, তাহলে নিচের “আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন” অংশে দেওয়া ঠিকানা ব্যবহার করে আমাদের জানাতে পারেন। আপনার পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য আমরা কিছু প্রশ্ন করতে পারি, কারণ আমরা চাই না ভুল মানুষের কাছে তথ্য চলে যাক!

৮. ছোট বন্ধুদের গোপনীয়তা

আমাদের ওয়েবসাইট ১২ বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য তৈরি করা হয়নি। আমরা জেনেশুনে ছোট বাচ্চাদের কাছ থেকে ব্যক্তিগত তথ্য নিই না। যদি আপনি একজন বাবা-মা হন আর দেখেন আপনার সন্তান আমাদের কাছে কোনো তথ্য দিয়েছে, তাহলে দয়া করে আমাদের জানান। আমরা দ্রুত সেই তথ্য সরিয়ে ফেলব।

৯. সেই মজার ‘কুকিজ’ নীতি

আমাদের ওয়েবসাইট আপনার অভিজ্ঞতা আরও ভালো করতে ‘কুকিজ’ ব্যবহার করে। যেমনটা আগে বললাম, এগুলো ছোট ছোট ফাইল যা আপনার কম্পিউটারে থাকে। এটা অনেকটা আপনার ব্রেনকে ছোট ছোট তথ্য মনে রাখার ক্ষমতা দেওয়ার মতো।

আমরা কীভাবে কুকিজ ব্যবহার করি:

  • জরুরি কুকিজ: এই কুকিজগুলো না থাকলে আমাদের ওয়েবসাইট ঠিকমতো কাজই করবে না।
  • কাজের হিসেব রাখার কুকিজ: এগুলো দেখে যে আপনি কোন পাতা বেশি দেখছেন, বা কোনো সমস্যা হচ্ছে কিনা। এতে আপনাকে সরাসরি চেনা যায় না, কিন্তু ওয়েবসাইটটা আরও ভালো হয়।
  • পছন্দ মনে রাখার কুকিজ: এই কুকিজগুলো আপনার পছন্দের ভাষা বা অন্য কোনো সেটিং মনে রাখে, যাতে আপনার জন্য ওয়েবসাইটটা আরও সহজ হয়।
  • বিজ্ঞাপন কুকিজ: এগুলো আপনার পছন্দের ওপর ভিত্তি করে বিজ্ঞাপন দেখানোর জন্য ব্যবহৃত হয়।

আপনি কীভাবে কুকিজ নিয়ন্ত্রণ করবেন:

আপনি চাইলে আপনার ব্রাউজারের সেটিংসে গিয়ে কুকিজ বন্ধ করে দিতে পারেন। তবে, মনে রাখবেন, কুকিজ বন্ধ করলে আমাদের ওয়েবসাইটের কিছু মজার জিনিস হয়তো আপনি ব্যবহার করতে পারবেন না। এটা অনেকটা একটা গেম খেলার সময় কিছু অপশন বন্ধ করে দেওয়ার মতো।

১০. এই নীতিতে যদি কোনো পরিবর্তন আসে?

সময় সময় আমরা এই গোপনীয়তা নীতিতে কিছু পরিবর্তন আনতে পারি। যখনই কোনো পরিবর্তন আসবে, আমরা এই পাতায় একটা নতুন তারিখ দিয়ে দেব। আমরা আপনাকে বলব, মাঝে মাঝে এই পাতাটা একটু দেখে নিতে, যাতে আপনি সব নতুন নিয়ম সম্পর্কে জানতে পারেন।

১১. বাংলাদেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, 2018 আর আপনার ডেটা

আমরা বাংলাদেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, 2018 (ডিএসএ) এর নিয়মকানুন মেনে চলতে অঙ্গীকারবদ্ধ। এই আইনটা ইলেকট্রনিক মাধ্যমে আপনার তথ্যের নিরাপত্তা আর গোপনীয়তা নিশ্চিত করতে সাহায্য করে। এই আইনের কিছু অংশ নিয়ে বিতর্ক থাকলেও, আমরা আইনটির অধীনে আমাদের দায়িত্ব আর আপনার অধিকারকে সম্মান করি।

আপনার ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করার সময় আমরা কিছু নীতি মেনে চলি:

  • আইনসম্মত উপায়: আমরা আপনার তথ্য সংগ্রহ করি কারণ আপনার অনুমতি আছে, বা কোনো চুক্তি করার জন্য এটা দরকার, অথবা আমাদের নিজস্ব কিছু কারণ আছে যা আইনসম্মত।
  • পরিষ্কার করে বলা: আমরা আপনাকে স্পষ্ট করে বলে দিই যে আমরা কী তথ্য নিচ্ছি আর কেন নিচ্ছি।
  • উদ্দেশ্যের মধ্যে থাকা: আমরা শুধু সেইসব কাজের জন্যই আপনার তথ্য নিই, যার জন্য এটা সংগ্রহ করা হয়েছিল। অন্য কোনো বেমানান কাজে ব্যবহার করি না।
  • কম তথ্য নেওয়া: আমরা শুধু ততটুকুই তথ্য নিই, যতটুকু আমাদের কাজের জন্য দরকার। বেশি নিই না।
  • সঠিক তথ্য রাখা: আমরা চেষ্টা করি আপনার তথ্য সব সময় সঠিক ও নতুন রাখতে।
  • নির্দিষ্ট সময় রাখা: আমরা আপনার তথ্য কেবল ততক্ষণের জন্য রাখি যতক্ষণ এটা আমাদের কাজের জন্য প্রয়োজন।
  • সুরক্ষা আর গোপনীয়তা: আপনার তথ্যের সুরক্ষার জন্য আমরা সব রকম প্রযুক্তিগত ব্যবস্থা নিই।

যদি আপনার ডেটা সুরক্ষা নিয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে কোনো চিন্তা থাকে, তাহলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে একদম দ্বিধা করবেন না।

১২. আমাদের সাথে কথা বলতে চাইলে:

এই গোপনীয়তা নীতি সম্পর্কে আপনার কোনো প্রশ্ন থাকলে, বা আপনার ব্যক্তিগত তথ্য নিয়ে কিছু জানতে চাইলে, দয়া করে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:

  • ইমেলের মাধ্যমে: info@bunianbazar.com
  • আমাদের ওয়েবসাইটে (যদি যোগাযোগের ফর্ম থাকে): https://bunianbazar.com/contact-us/

আপনার গোপনীয়তা আমাদের কাছে চাঁদের আলোর মতো গুরুত্বপূর্ণ, আর আমরা আপনার তথ্য সযত্নে রাখতে সব রকম চেষ্টা করব।

গুরুত্বপূর্ণ সতর্কতা:

এই লেখাটা শুধু আপনাকে তথ্য দেওয়ার জন্য। এটা কোনো আইনি পরামর্শ নয়! বাংলাদেশের আইন একটু জটিল হতে পারে আর সময়ের সাথে সাথে বদলাতেও পারে। আপনার ব্লগের জন্য ১০০% নির্ভুল এবং আইনসম্মত একটা গোপনীয়তা নীতি বানাতে হলে আপনাকে অবশ্যই বাংলাদেশের একজন অভিজ্ঞ আইনজীবীর সাথে কথা বলতে হবে। এইখানে যা লেখা আছে, তার ওপর ভিত্তি করে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে একজন আইনজীবীর সাথে পরামর্শ করে নিন। বুনিয়ান টেক ব্লগ বাজারে বা এই লেখাটা যিনি লিখেছেন, তিনি এই তথ্যের ব্যবহারের ফলে সৃষ্ট কোনো সমস্যার জন্য দায়ী থাকবেন না।

কম্পানির নামঃ বুনিয়ান টেক ব্লগ
ঠিকানাঃ ১৩১, আর, এন, রোড, যশোর
বাংলাদেশ, ৭৪০০
মোবাইলঃ ০১৬১২৭৯৩১৭৯
ইমেইলঃ info@bunianbazar.com

ধন্যবাদ